নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: স্বতন্ত্র ই-কমার্স আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো এক মাস। তবে চূল-চেরা বিশ্লেষণে নতুন করে আইন বা কর্তৃপক্ষ গঠন না করে বিদ্যমান আইনে ডিজিটাল কমার্স সেলকে আরো শক্তিশালী করার দিকেই এগুচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার জন্য এ-সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভায় এমন আলোচনাই হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল প্রধান মুহাম্মদ সাঈদ আলী ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধি, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের প্রতিনিধি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি, এটুআইর প্রতিনিধি, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বেসিস নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিব উল আলম উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ই–কমার্সের জন্য নতুন আইন হবে কি না বা ই–কমার্স কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে কি না, সেটা জানা যাবে আরও এক মাস পর। আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠন করার বিষয়ে একটি উপকমিটি গঠিত হয়েছে। সে উপকমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের ওপর নির্ভর করবে আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে কি না। কমিটি পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করবে।
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন আছে, প্রতিযোগিতা কমিশন আইন আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে, এমনও হতে পারে বর্তমান আইনগুলোকে সংশোধন করে নতুন কোনো ধারা, উপধারা সংযোজন হবে। আর কর্তৃপক্ষ করতে বেশ সময় লাগে, এখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের জড়িত থাকার বিষয় আছে। সহসা কর্তৃপক্ষ গঠন সম্ভব না–ও হতে পারে। তবে আমরা ডিজিটাল কমার্স সেলকে শক্তিশালী করব। এ সেলকে কারিগরিভাবেও সহায়তা দেওয়া হবে।’
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৫ অক্টোবর ২০২১)