সাইবারবার্তা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ফুটবল লীগে একযোগে সোশ্যাল মিডিয়া বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে নিয়ে সমালোচনা ও বিদ্রুপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে বয়কটে অংশ নেবে প্রিমিয়ার লীগ, ইংলিশ ফুটবল লীগ এবং মহিলা সুপার লিগসহ কয়েকটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের পাশাপাশি দাতব্য সংস্থা ‘কিক ইট আউট’ও চার দিনের এই বয়কট কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকবে।
কিক ইট আউট-এর চেয়ারম্যান সঞ্জয় ভান্ডারী বলেন, “এই বয়কট আমাদের সম্মিলিত ক্ষোভেরই বহি:প্রকাশ।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দুঃখের বিষয় হচ্ছে, (একে অপরকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণের ক্ষেত্রে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অপব্যবহার নিয়মিত একটি রুটিন বিষয় হয়ে গেছে!”
তার মতে, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ফুটবল খেলোয়ারদের নিয়ে ট্রল করা হয়, এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।
গত বছর বর্ণবাদী নির্যাতনের শিকার শেফিল্ড ইউনাইটেডের ডেভিড ম্যাকগোলড্রিক এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক কিছুই হয়েছে, যার শিকার আমি নিজেই।”
শুধু ম্যাকগোলড্রিকের সঙ্গেই নয়, আরো অনেক খেলোয়াড়কে নিয়ে সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলোতে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। বর্ণবাদী আক্রমণ, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ, ট্রল- এসব নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল।
ফুটবল সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, লীগ ম্যানেজারস অ্যাসোসিয়েশন, মহিলা ইন ফুটবল, মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এর ক্লাবগুলোর পাশাপাশি রেফারিদের সংগঠনও টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম বর্জনে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক আর্সেনাল ও ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার থিয়েরি হেনরি গত মার্চে বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। কারণ তিনি সাম্প্রদায়িক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একজন খেলোয়ার আক্ষেপ করে বলেন, যথেষ্ট হয়েছে! এখনই সাম্প্রদায়িক-বর্ণবাদী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সম্প্রতি তিন খেলোয়ার বর্ণবাদী আক্রমণের মুখে পড়ার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব লিভারপুল জানিয়েছে, আর এ ধরনের অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।
এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে ফেইসবুক বলেছিল, এ রকম বিদ্বেষ মোকাবেলায় তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
(সাইবারবার্তা.কম/জেডআই/২৬ এপ্রিল ২০২১)