:: নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা.কম :: আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে সাঁজোয়া কোরের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রত্যেক সদস্য আগামী দিনে দেশ সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বগুড়ায় এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেনাপ্রধান এসব বলেন। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৪ বগুড়া সেনানিবাসস্থ আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল (এসিসিএন্ডএস)-এ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনী প্রধান আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে পৌঁছলে তাকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; কর্নেল কমান্ড্যান্ট, সাঁজোয়া কোর: জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া ও কমান্ড্যান্ট এসিসিএন্ডএস অভ্যর্থনা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান সম্মেলনে উপস্থিত সাঁজোয়া কোরের ইউনিটগুলোর অধিনায়কগণ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কোরের তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। তিনি সাঁজোয়া কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় সাঁজোয়া কোরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য সাঁজোয়া কোরের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান এবং প্রত্যেক সদস্য আগামী দিনে দেশ সেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে, সেনাপ্রধান আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে বৃক্ষ রোপন ও অধিনায়কগদের সঙ্গে আলোকচিত্রে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে জিওসি, আমি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড: সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, কমান্ড্যান্ট, আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সাঁজোয়া ব্রিগেডের কমান্ডাররা; সাঁজোয়া ইউনিটগুলোর অধিনায়কগণ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এসিসিএন্ডএস এ সাঁজোয়া কোরের ‘৯ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সেনা কল্যান সংস্থা চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. হাবীব উল্লাহ। বগুড়া সেনানিবাসস্থ শহীদ লে. বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে সামরিক ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী সাঁজোয়া কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এ সময় সাঁজোয়া কোরের সব ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকষ দল নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্টকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়। -আইএসপিআর
(সাইবারবার্তা.কম/২০জানুয়ারি২০২৫/১৬০৫)