নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: ডিজিটাল ব্যাবসায় পরিচালনা নির্দেশিকাকে (এসওপি) স্বাগত জানিয়ে এই নির্দেশিকা বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
তিনি বলেছেন, এই নীতিমালা নিঃসন্দেহে মাইলফলক। তবে প্রতিযোগিতা কমিশন বা ভোক্তা অধিকার পারিষদকে এখানে ভিজেলেন্স হতে হবে। নির্দেশিকা শুধু লেখা থাকলেই হবে না। দরকার হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আইনের প্রয়োগ না করলে নির্দেশিকা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। কপিরাইট আইন যেমন থাকলেও কোনো প্রয়োগ নেই, এটি যেন সে রকম না হয়। এই যেমন এসএমএস করে এখন নকল রোলেক্স ঘড়ি বিক্রি হচ্ছে।
অংশীজনদের নিয়ে মঙ্গলবার ই-ক্যাব ও বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১” বিষয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় নির্দেশিকা বাস্তবায়নে আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সৈয়দ আলমাস কবির।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে নির্দেশিকা অমান্যকারীদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এসক্রো সার্ভিস চালু করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়নে সমন্বয় রাখতে হবে। সমন্বয় না থাকলে অনেকেই এর নেতিবাচক সুযোগ নেবে।
আলমাস কবির আরো বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে ই-কমার্সের ব্যবসা ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ফলে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের কিছুটা স্বাধীনতা দিতে হবে। তাদেরকে বিভিন্ন মার্কেটিং গেমিক কাজে লাগানোর সুযোগ করে দিতে হবে, যতক্ষণ না তা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়। তাই হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটতে দিলে হবে না। আইনকানুন মেনে তারা যাতে ব্যবসায়ে চমক আনতে পারে, সেই সুযোগও তৈরি করতে হবে।
বক্তব্যে এফ-কমার্স এর মতো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এখনই শৃঙ্খলাবদ্ধ না করারও দাবি জানিয়েছেন বেসিস সভাপতি।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৭ জুলাই ২০২১)