:: নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা.কম ::
ইসলামের দৃষ্টিতে একটি সভ্য সমাজ তখনই গড়ে উঠবে যখন অভ্যন্তরীণ কলহ-বিবাদ-ভেদাভেদ থাকবে না। এজন্য ঐক্য সবার আগে প্রয়োজন আর তার সঙ্গে থাকতে হবে জ্ঞান। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করতে হবে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তরা এসব বলেন।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘নয়া ইসলামি সভ্যতা বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব বলেন বক্তারা। শনিবার (৪ জানুয়ারি’২৪) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফার্স হোটেলের রিক্রিয়েশন লাউঞ্জে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ইরানের ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অব আহলুল বাইতের মহাসচিব আয়াতুল্লাহ রেজা রামাজানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাপরিচালক আবদুস সালাম খান, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন ও ইরানের রিলিজিয়ন্স ও ডেনোমিনেশনস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইয়্যেদ মাহদী মুসাভী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেযা মীরমোহাম্মাদী।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সব যুগের যে জিজ্ঞাসা, চাহিদা ও প্রয়োজন তা মেটানোর সক্ষমতা ইসলামি সভ্যতার আছে। সভ্য সমাজ গড়তে সবার আগে মানবমর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। তাকওয়াসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তারা বলেন, যারা জ্ঞানী, সচেতন এবং জাগ্রত তারাই উন্নত জাতি। সভ্য সমাজে জীবনের ভিত্তি হবে ঈমান ও বিশ্বাস। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করতে হবে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শুধু বস্তু-জাগতিক বিষয় নয় আধ্যাত্মিক দিকের প্রতিও দৃষ্টি দিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, সমাজের প্রত্যেককে দায়িত্বপরায়ণ হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও লড়াই করতে হবে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। নিজে যেমন জুলুম করা যাবে না, অন্যকেও জুলুম করতে দেয়া যাবে না। ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ গড়তে হবে। আখলাকের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইহকালীন জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হলে চলবে না, পরকালীন চিন্তা থাকতে হবে। পাশাপাশি সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।
(সাইবারবার্তা.কম/০৫জানুয়ারি’২৪/১১২৪)