মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২১ ২০২৫ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের অভিনব ফাঁদ: ১০০ টাকা দিয়ে শুরু, ৭ লাখ নিয়ে ধরা সিআইডিতে

:: সাইবারবার্তা ডেস্ক :: 

সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা প্রথমে ভিকটিমকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন ভুয়া ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির পরিচয় দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজের অফার প্রদান করে এবং বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জনের মিথ্যা কৌশল সম্পর্কে ব্রিফিং দিয়ে ভিকটিমকে তাদের সাথে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।

ভিকটিম ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করে। প্রতারকরা টেলিগ্রাম গ্রুপে ভিকটিমকে কিছু টাস্ক দেয়, ঐগুলো সম্পন্ন করার সাথে সাথে ভিকটিম তার বিকাশ একাউন্টে ২০০/৩০০ টাকা পেয়ে যায়। প্রাথমিক কাজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন সাইটে সাবস্ক্রাইব করা। প্রতি সাবস্ক্রাইবে ১০০ টাকা করে ভিকটিমের বিকাশ একাউন্টে জমা হতে থাকে। ভিকটিমের পেছনে এভাবে প্রতারক চক্র আট হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে। ভিকটিম বিকাশে এত সহজে কাজ করে টাকা পাওয়ায় কৌতুহলী হয়ে উঠে এবং প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিশ্বাস করতে শুরু করে।

পরবর্তীতে প্রতারক চক্রের ডাবল বেনিফিট টাস্ক প্ল্যান, হোমওয়ার্ক প্ল্যান, ক্যাশব্যাক প্ল্যানের মত ভুয়া প্ল্যানে ভিকটিম কনভিন্সড হয়ে সরল বিশ্বাসে টাকা ইনভেস্ট করতে থাকে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভিকটিমকে ভিআইপি নামক টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করে প্রথম ওভারটাইম প্রতিকার টাস্ক অর্ডার, দ্বিতীয় ওভারটাইম রান্ডমলি টাস্ক অর্ডার নামে ভুয়া টাস্ক সম্পন্ন করায় এবং ভিকটিমের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নেয়। ভিকটিম যখন তার লভ্যাংশসহ টাকা ক্যাশ আউট করতে চায় তখন সিস্টেমের সমস্যা, সার্ভার ডাউনের কথা বলে তালবাহানা করে এবং পরবর্তী টাস্কিংগুলো সম্পন্ন করার পরামর্শ দেয়।

প্রতারক চক্র ভিকটিমের কাছ থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সাত লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭ টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতোমধ্যে উক্ত বিষয়ে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা রুজু হয়, যা সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডির নিকট তদন্তাধীন। গত ১৫/০১/২০২৫ খ্রি. সাইবার মনিটরিং টিম প্রতারক চক্রের এক সদস্য মো. আব্দুল আল মাসুম (৩০), পিতা: মো. ইউনুস মিয়া, মাতা: খতিজা বেগম, ঠিকানা: উত্তর মাদ্রাসা, হাটহাজারী, চট্রগ্রামকে হাটহাজারী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকালে মাসুমের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১৭টি চেক বই জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আসামি আরো জানায় উক্ত প্রতারনার কাজটি দুবাই থেকে পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। – বিজ্ঞপ্তি

(সাইবারবার্তা.কম/১৭জানুয়ারি’২৫/০৯২৫)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ