শনিবার, মার্চ ১৫ ২০২৫ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল | ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

নারী পুলিশের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল, রিমান্ডে যুবক

সাইবারবার্তা ডেস্ক: ইন্টারনেটে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ভাইরাল করার অভিযোগে হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার বিকালে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে এই আসামিকে তোলা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

হৃদয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে ‘বিডি পুলিশ’ নামে একটি গ্রুপ খুলে সেখানে ভিডিও এবং ছবি প্রচার করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় ওই নারী কনেস্টেবল তার প্রেমিক হৃদয় খানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে মামলা করেন। এরপর পুলিশ রাজধানীর মগবাজার থেকে রাতেই হৃদয় খানকে(২৫) গ্রেপ্তার করে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান। গ্রেপ্তার হৃদয় খান কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সৈয়দখারকান্দি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। তিনি সপরিবারে রাজধানীর রমনা থানার ৮২ নম্বর মগবাজার এলাকায় বসবাস করেন।

 

অভিযোগকারী নারী কনেস্টেবল (২৪) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঁদমারী এলাকার বাসিন্দা এবং কক্সবাজার জেলায় কর্মরত আছেন। অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত দুজনই সম্পর্কে আত্মীয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, দুই বছর ধরে হৃদয় ও নারী কনেস্টেবলের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা চলে আসছে। এর মধ্যে তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার ভিডিও কলে কথা হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হৃদয় নারী কনেস্টেবলের স্পর্শকাতর স্থানের ছবি ও ভিডিও দেখেন এবং গোপনে তা রেকর্ড করে রাখে।

 

এছাড়া সরাসরি দেখা হওয়ার পর ঘনিষ্ট মুহূর্তের কিছু ভিডিও ধারণ করেন হৃদয়। পরে সম্পর্কের টানাপোড়েন হলে অনেকের নাম্বার সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপে ‘বিডি পুলিশ’ নামে গ্রুপ খুলে ওইসব ভিডিও ও ছবি সেখানে ছেড়ে দেয়।

 

অভিযোগকারী নারী পুলিশ সদস্য জানান, গত ২ জুন ছুটি পেয়ে নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় হোয়াটসঅ্যাপ চালু করে ‘বিডি পুলিশ’ নামে একটি গ্রুপে দেখেন হৃদয় আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছেন। পরে তিনি পরিবারের সদস্য ও কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় গিয়ে আইনের সহায়তা চান।

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। রাতে মামলা করার পরই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমাণ্ড চেয়ে নিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

আসামি পক্ষের আইনজীবী হামিদা খাতুন লিজা বলেন, হৃদয়ের সঙ্গে ওই মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কোরবান ঈদের পর। হৃদয় ওই ভিডিও ভাইরাল করেনি। হৃদয়ের কাছ থেকে ফোনটি নিয়েছিলেন তার বন্ধু। তিনি ওই ভিডিও ভাইরাল করেছেন।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৫ জুন ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ