রবিবার, জানুয়ারি ২৬ ২০২৫ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ২৫শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

কর্মমুখর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেক পার্ক

সাইবারবার্তা ডেস্ক: বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় তথ্য প্রযুক্তিতে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে সম্পৃক্ত করার সবচে’ বড় উদ্যোগ যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। গত এক যুগে যশোর ও এর আশপাশের এলাকার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেরা উপহার এ পার্কটি এখন পূর্ণউদ্যোমে কর্মমুখর। যশোর শহরের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে বিশাল জায়গা জুড়ে ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক নির্মাণশৈলীতে নির্মিত এ পার্কটিতে কেবলই এখানকার বিনিয়োগকারী, কর্মীরাই ভিড় করেন না, প্রতিদিন আসেন প্রচুর দর্শনার্থী। আসেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা।

 

 

২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক বিনিয়োগকারীদের জন্য খুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।দেশের প্রথম ও সবচে’ বড় এ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে রয়েছে ১৫ তলাবিশিষ্ট মাল্টি ট্যানেন্ট বিল্ডিং বা এমটিবি (মূল ভবন) এবং ১২ তলা বিশিষ্ট তিন তারকা মানের ডরমেটররি। সুউচ্চ এ বিল্ডিং দুটি ভুমিকম্প প্রতিরোধক স্টিল ও কংক্রিটের কম্পোজিট কাঠামোতে তৈরি। এছাড়াও রয়েছে তিনতলা ক্যান্টিন ও অ্যামফিথিয়েটার ভবন। আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং ব্যবস্থা ছাড়াও ১৫ তলা এমটিবি ভবনে রয়েছে দুই লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট স্পেস, যার প্রায় পুরোটাতেই এখন বিনিয়োগকারীদের কর্মকান্ড চলছে। ১২ তলা ডরমেটরি ভবনে রয়েছে প্রায় এক লাখ বর্গফুট স্পেস। এর একটি ফ্লোরের পুরোটা জুড়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের জিম। তিনতলা ক্যান্টিন ও অ্যামফিথিয়েটার ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে স্পেস সাড়ে ৯ হাজার বর্গফুট।

 

 

পার্কে বিনিয়োগকারীদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদানের জন্য এখানে আছে ৩৩ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন ও দুই হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতার একটি জেনারেটর। ডরমেটরির সামনে আছে ৫ একরের বিশাল জলাধার।সর্বাধুনিক এ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি নির্মাণ করেই কাজ শেষ করেনি সরকার। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একেবারে কেন্দ্রে নির্মিত এ সফটওয়্যার পার্কে যাতে দক্ষ কর্মীর সংকট না হয়, সে জন্য বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটি ও আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এখানে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ীই সরকার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

 

এ পার্কের বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এখনও শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। দক্ষ কর্মীর অভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো ফাংশন করতে পারছে না। তবে সরকার দেশের আরও ১২ জেলায় আইটি/হাইটেক পার্ক নির্মাণ করছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে এ পার্কগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। এ প্রকল্পে আইটির বিভিন্ন শাখায় ৩০ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলার কথা রয়েছে। যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে সরকার যেভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা যদি অব্যাহত থাকে, পাশাপাশি ১২ জেলায় যে ৩০ হাজার দক্ষ আইটি কর্মী গড়ে তোলার প্রকল্প রয়েছে তা ঠিকমতো বাস্তবায়িত হলে দক্ষ কর্মীর সংকট অনেকটাই কেটে যাবে।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৯ মে ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ