বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫ ২০২৫ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ওয়াজের আড়ালে উগ্রবাদের প্রচার করতেন ‘আনসার আল ইসলামের’ আধ্যাত্মিক নেতা

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মাহমুদ হাসান দাওয়াতুল ইসলাম নামের একটি সংগঠনের আমির। নিষিদ্ধ না হলেও এ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক সদস্য বিভিন্ন সময় উগ্রবাদে জড়িয়েছেন। বিভিন্ন সময় তাঁদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মাহমুদ হাসানের কাছ থেকে এ ধরনের সদস্যদের বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

 

মাহমুদ হাসানকে আধ্যাত্মিক নেতা বলার কারণ হিসেবে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা জসিম উদ্দিন রাহমানি। তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাহমুদ হাসান নিজেকে সংগঠনের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জসিম উদ্দিন রাহমানির মাধ্যমে তিনি আনসার আল ইসলামে যোগ দেন। উগ্রবাদী বক্তব্যের মাধ্যমে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। গত ৫ মে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আল সাকিবের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে। তাঁর কথাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন সাকিব। এ কারণে তাঁকে আধ্যাত্মিক নেতা বলা হচ্ছে।

 

কোনো হামলায় সরাসরি মাহমুদ হাসানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি উল্লেখ কর‌ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল এবং মাদ্রাসায় ধর্মভিত্তিক একাধিক সংগঠনের হয়ে তিনি ওয়াজ করতেন। এমনকি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে বিভিন্ন মসজিদেও তিনি নিয়মিত বয়ান করতে যেতেন। তাঁর কথায় যাঁরা উদ্বুদ্ধ হতেন এবং যাঁদের তিনি মনে করতেন ‘মগজধোলাই’ করা সম্ভব, তাঁদের তিনি টার্গেট করতেন।

 

র‌্যাব জানায়, ২০০৮ সালে মাহমুদ হাসান মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। তারপর ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। ২০১০ সাল থেকে তিনি ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি উগ্রবাদী বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। ৬ জুলাই নোয়াখালী থেকে মাহমুদ হাসানকে র‌্যাবের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় বলে পরিবারের পক্ষে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ৫ জুলাই ঢাকা ও রাজবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতা আলী হাসান ওসামা ও সাকিব নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয়। এ বিষয়ে মাহমুদ হাসান র‌্যাবকে বলেছেন, মামলার পর তিনি কুমিল্লা থেকে খাগড়াছড়িতে যান। পরে বান্দরবান চলে যান। র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে তিনি বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যান। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তরবঙ্গ হয়ে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনার কথাও তিনি বলেছেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৮ জুলাই ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ