সাইবারবার্তা ডেস্ক: এবার বন্ধ হচ্ছে পুরনো বা ব্যবহৃত ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক পণ্য দেশে আমদানির সুযোগ। উন্মুক্ত হচ্ছে ই-বর্জ্য রফতানির দরজা।এজন্য ইলক্ট্রনিক পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ সরঞ্জাম ১৮০ দিনের বেশি মজুদ না করতে কঠোরতা আরোপ করেছে সরকার। এক্ষেত্রে বেধে দেয়া এই সময়ের মধ্যেই উৎপাদনকারী বা সংযোজনকারীকে ফেরত নিতে হবে ই-বর্জ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ৯০ দিন পর্যন্ত সময় মিলবে।
এছাড়াও ই-বর্জ্য ফেরত নেয়ার সময় উৎপাদনকারীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অর্থ বা প্রণোদনা পাবেন ভোক্তা। পাশাপাশি দেশে ই-বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকলে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন নিয়ে তা বিদেশে রফতানি করতে পারবেন রফতানিকারকরা। এমন নিয়ম রেখে ‘ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে সরকার। ইতোমধ্যেই বিধিমালাটি প্রকাশ করা হয়েছে গেজেট আকারে।
সেখানে বলা হয়েছে, বিধিমালার কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত, ২০১০)’ এর ১৫ (১) ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের ক্ষেত্রে দুই থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড বা দুই থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
বিধামালায় বলা হয়েছে, ই-বর্জ্যের ধরন অনুযায়ী পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় অফিস প্রতিবছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে ডিজিটাল পণ্য নির্মাতাদের। পরিবেশ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন একত্রিত করে তা পুনঃপরীক্ষা ও দিকনির্দেশনার জন্য প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে পাঠাবে।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৬ জুন ২০২১)