মঙ্গলবার, মার্চ ১৮ ২০২৫ | ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল | ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

আইওটি, রোবটিক্স , ব্লকচেইন ডিভাইস প্রয়োগ যুগের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ:মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান, সামনে প্রয়োগ হবে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপান্তরিত হবে ডিজিটাল ডিভাইস। এআই, আইওটি, রোবটিক্স, ব্লকচেইন ডিভাইস প্রয়োগ যুগের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।

 

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ব্যাকবোন হিসেবে ডিজিটাল সংযোগ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা আমরা করেছি। অনেক উন্নত দেশও আমাদের সমপর্যায়ে আসতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর ফলে প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সক্ষমতা আমরা অর্জন করতে পারবো।

 

মন্ত্রী গতরাতে ঢাকায় এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার সমিতি( ইসিএস) আয়োজিত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবসার সংকট ও করণীয় শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিক এহসান, বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর, ইসিএস নেতা মুজাহিদ আল বেরুনী, গ্লোবাল টেকনোলজির পরিচালক জসিম উদ্দিন, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী আসাব উ্ল্লাহ খান জুয়েল এবং মিতিঝিল কম্পিউটার সোস্যাইটির নেতা খন্দকার হক লুটনসহ ঢাকার মিরপুর, চট্রগ্রাম, খুলনা ও যশোর শাখার বিসিএস শাখার প্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেন।

 

মন্ত্রী বৈশ্বিক অতিমারি করোনার কারণে ব্যবসা, শিল্পসহ প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের জন্য চ্যালেঞ্জিং সময় যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ছোট-বড়-মাঝারি ব্যবসায়ীসহ দিন মজুর নিম্ন আয়, মধ্যম আয়ের মানুষসহ সকলেই করোনার কারণে সংকটে আছেন। কম্পিউটার বিপ্লবের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য কম্পিউটার, রাউটারসহ ডিজিটার ডিভাইসের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

 

করোনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এ বিষয়গুলো তুলে আনার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বিএসএস এর চার বারের সাবেক সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, সামগ্রিকভাবে সকলের স্বার্থ রক্ষায় এবং সমস্যা সমাধানের জন্য ট্রেডবডির ভূমিকা অপরিসীম। ট্রেডবডির যথাযথ ভূমিকা গ্রহণের মাধ্যমে জরুরী সেবার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবা অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করে বলেন, ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা যখন কথা বলবেন সেক্ষেত্রে সকলের অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে কথা বলতে হবে।

 

বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবচেয়ে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও সহানুভূতিশীল উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৮-৯৯ সালে তিনি কম্পিউটারের ওপর থেকে ২শত ১০ কোটি টাকার কর মওকুফ করেছিলেন। এর ফলে কম্পিউটার সাধারণের নাগালে পৌঁছুতে পেরেছে। তারই গতিশীল নেতৃত্বে সফটওয়্যারখাত, টেলিকমখাত, ডিজিটাল সেবা এবং ইন্টারনেট সার্ভিসের ক্ষেত্রে যুগান্তকারি ঘটনা ঘটেছে।

 

তিনি আস্থা ও ধৈয্যের সাথে করোনাকালে চলমান সংকট মোকাবেলার আহ্বান জানান। প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকার কারণে চীন, রাশিয়া এবং আমেরিকা প্রায় স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে এসেছে। প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকতে পারলে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা করোনাকালে ডিজিটাল ডিভাইস পণ্য সেবা জরুরী সেবার আওতায় আনার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১০ জুলাই ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ